ওহাবী-কওমী নির্যাতনে আরেক শিশুর মৃত্যু! সদাশয় সরকার! আমার মায়ের কান্না কি শুনতে পান? আবছার তৈয়বী
ওহাবী-কওমী মাদ্রাসায় নির্মম জুলুম চলছে তো চলছেই। আজ এক মাদ্রাসায় তো কাল আরেক মাদ্রাসায়। আজ শহরে তো কাল গ্রামে। আজ কোন নাবালক ছেলে ওহাবী-কওমী হুজুর নামী খবিস নরপশুর বলাৎকারের শিকার তো কাল আরেক হায়েনা হুজুরের লালসার শিকার হচ্ছে- নাবালিকা মেয়ে শিশু! এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এই নিস্পাপ শিশুদের কেউ কেউ ঢলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে। সেই সাথে মৃত্যু হচ্ছে- মা-বাবার স্বপ্নের। আহা! কতো আশা করেই মা-বাবা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের দীন শিক্ষা লাভ করার জন্য ওহাবী- কওমী মাদ্রাসা ভর্তি করায়! কতো নির্ভরতায় নিজ সন্তানদের তুলে দেয়- হুজুর নামক এই পিশাচদের হাতে! কিন্তু তারাই কি-না হন্তারক হয়ে মা-বাবার হাতে তুলে দেয় সন্তানের লাশ! এই জুলুম কি সহ্য করা যায়? আশ্চর্যের কথা- প্রায় প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ওহাবী-কওমীদের এই নির্মম নির্যাতনের কোন আইন-সঙ্গত বিচার এই দেশে কখনোই হয়নি! স্বাধীন বাংলাদেশে অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে- অপরাধী ওহাবী-কওমী হলেই যেন সাতখুন মাফ! একটি স্বাধীন দেশে কেন এমন হবে? এই সব নির্মম ঘটনার কেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয় না কোনদিন? হাফেজে কোরআন হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ১২ বছরের একটি বাচ্চা ছেলে কোন দুঃখে গলায় ফাঁস দিতে যাবে? তাকে বলাৎকার করতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেয়নি তো? নাকি বলাৎকারের শারিরীক মানসিক জুলুম সহ্য করতে না পেরে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে? কে উদঘাটন করবে- এই রহস্য? আর কতোকাল কান্না করবে- আমার মায়েরা? ওহাবী-কওমীদের আর কতো জুলুম বরদাশত করবে- এই জাতি? কবে জাগবে আমাদের বিবেক? কবে টনক নড়বে সরকারের? কবে তদন্তে নামবে মানবাধিকার কমিশন? মা! তুমি কান্না থামাও। আর প্রাণ ভরে অভিশাপ দাও এই জালিমদের। কারণ, মজলুমের পক্ষ থেকে জালিমদের জন্য অভিশাপ ছাড়া আর কিছু পাওয়ার থাকে না। তারিখ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ খৃ. আবুধাবি, ইউ.এ.ই।




Post a Comment